জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য প্রার্থী হতে পারবে না। ফলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জকসু নির্বাচন বিধিমালা ২০২৫-এর গঠনতন্ত্রে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।বিধিমালার ৪ নম্বর ধারা, ২(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না।’এ বিষয়ে জকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, ‘যে কোনো সংগঠন সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিষিদ্ধ হলে, তাদের সদস্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যদি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তবে তারাও প্রার্থী হতে পারবে না।’তবে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা যাচাই নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।৫ আগস্টের পর থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।এছাড়া জবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অপ্রকাশিত থাকায় বর্তমানে কারা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তা নির্ধারণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আপ বাংলাদেশ’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, ‘ইতিপূর্বে যারা ছাত্রলীগে ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। শুধু প্যাডে নাম থাকলেই যেন কেউ প্রার্থিতা থেকে বাদ না পড়ে।’অন্যদিকে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘ছাত্রলীগের যারা জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ নেই, তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছি।’প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হবে। কারও বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে নিষিদ্ধ সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএম
Monday 3 November 2025
somoyerkonthosor - 3 days ago
