জ্বালানি সংকটের কারণে দেশের সব স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে মালি। শিক্ষামন্ত্রী আমাদু সি সাভান রোববার এক ঘোষণায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।  
শিক্ষামন্ত্রী ওই বিবৃতিতে বলেন, জ্বালানির অভাবে শিক্ষক ও কর্মীদের চলাচলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস স্থগিত থাকবে। সরকার আশা করছে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পুনরায় শুরু করা যাবে।
সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কমিটি জানায়, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা বহাল থাকবে। তবে জরুরি সেবা, উদ্ধারকাজ এবং গণপরিবহনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা চালু থাকবে।
জানা যায়, এই সংকটের সূত্রপাত হয় সেপ্টেম্বর মাসে। তখন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি আমদানির ওপর অবরোধ আরোপ করে। তারা সেনেগাল ও আইভরি কোস্ট থেকে আসা জ্বালানি ট্যাঙ্কারগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে মালিতে জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।
জেএনআইএম জানান, গ্রামীণ এলাকায় জেরিক্যানে জ্বালানি বিক্রিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবেই এই অবরোধ। তবে সরকার বলেছে, ওই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্রোহীদের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা।
অবরোধের কারণে মালির অর্থনৈতিক চাপ আরও বেড়েছে। পণ্যদ্রব্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি পেট্রল স্টেশনগুলোর সামনে লম্বা সারি দেখা যাচ্ছে।
দীর্ঘ এক দশক ধরে মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার জঙ্গি হামলা ও অস্থিতিশীলতার মুখে রয়েছে। ২০২০ সালের অভ্যুত্থানের পর মালির সেনাশাসন ফরাসি বাহিনীকে বিতাড়িত করে রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সহায়তা নিয়েছিল। তবে এ সিদ্ধান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমআর-২
				Tuesday 4 November 2025			
						
		somoyerkonthosor - 8 days ago 
