মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে ২৬ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটকদের মধ্যে ১৮ জন ইন্দোনেশীয়, তিনজন বাংলাদেশি ও ৫ জন নেপালি রয়েছেন।
আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার এক নারীকে অভিবাসন কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন না। জবাবে ওই নারী তার অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশে কাজ পাওয়া কঠিন। তাই কয়েক বছর আগে বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় এসেছিলাম। এখন দেশে ফেরার টাকাও নেই।’
৪০ বছর বয়সী ওই নারী আরও বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট ছিল, কাজও পেয়েছিলাম পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে। এখন মাসে প্রায় ১৪০০ রিঙ্গিত আয় করি, এর মধ্যে ৫০০ থেকে ৬০০ রিঙ্গিত দেশে পাঠাতে পারি। তবে এখন দেশে ফেরার টাকাও নেই।’ শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে উলু ক্লাংয়ের জালান পেরমাতা এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে অভিযান চালায় মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ সময় ৩৯ জন বিদেশি ও স্থানীয় নাগরিককে তল্লাশি করে ২৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুনবিশেষ ট্রাভেল পাসের মেয়াদ বাড়ালো মালয়েশিয়ামালয়েশিয়ায় যৌথ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ২৪ অভিবাসী আটক
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসফ বলেন, জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে রাত ১টার দিকে অভিযান শুরু হয়। মোট ৩৯ জনকে যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ১০ জন স্থানীয়, ২৬ জন ইন্দোনেশীয়, ৩ জন বাংলাদেশি, একজন পাকিস্তানি ও ৫ জন নেপালি।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ১৮ জন ইন্দোনেশীয়, ৩ জন বাংলাদেশি ও ৫ জন নেপালি। ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ১৫(১)(সি) ও ৬(১)(সি) ধারায় তাদের আটক করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার নিম্নআয়ের বিদেশি শ্রমিক বৈধ ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও অর্থের অভাবে দেশে ফিরতে পারছেন না। অনেকে স্থানীয়দের কাছ থেকে কাজ পেয়ে অবৈধভাবে থেকে সংসার চালানোর চেষ্টা করেন।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ অবস্থায় থাকা এসব অভিবাসী মানবিক ঝুঁকি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সমস্যায় পড়ছেন। তাদের পুনর্বাসন বা দেশে ফেরাতে সহানুভূতিশীল উদ্যোগ জরুরি।
এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ অবৈধ অভিবাসী দেশে ফেরার ইচ্ছে রাখেন, কিন্তু হাতে টাকা নেই।
কেএসআর/এমএস
				Tuesday 4 November 2025			
						
		