১০ দিন পর উদঘাটন হলো মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী রাজ্জাক শেখের স্ত্রী সিথী আক্তার স্মৃতি (২৩) ও তিন বছরের কন্যা মরিয়ম হত্যার প্রকৃত কারণ।
হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সুজন (২৭) আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর সে জানায়, পরকীয়া প্রেমের জেরে স্মৃতি ও তার কন্যাকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়।
গত ২৩ অক্টোবর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে মরিয়মের লাশ ঘটনাস্থলের পাশের নদী থেকে উদ্ধার হয়। তবে স্মৃতির খোঁজ মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মা নদীর পাড়ে তার লাশ পাওয়া যায়।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের সাঈদ শেখের ছেলে সুজন সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরে। দেশে ফিরে আসার পর প্রতিবেশী রাজ্জাক শেখের স্ত্রী স্মৃতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় সুজনের ভাবির কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করে। তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়, কিন্তু সুজন এতে রাজি না হয়ে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্মৃতি হুমকি দেয়, সে সুজনের বাড়িতে গিয়ে উঠবে।
সেই হুমকির পরে সুজন পরিকল্পনা করে ২৩ অক্টোবর রাতে স্মৃতিকে পাশের পেয়ারা বাগানে আসতে বলে। সেদিন স্মৃতি তার কন্যা মরিয়মকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সুজন পেছন থেকে জাপটে ধরে স্মৃতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ দৃশ্য দেখে মরিয়ম কান্না শুরু করলে তাকেও গলাটিপে হত্যা করা হয়। পরে লাশ দুটি যমুনা নদীতে ফেলে দেয় সুজন।
ঘটনার পর র্যাব-৪ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সুজন।
পুলিশ সুপার মোছাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন জানান, শিবালয়ে মা ও মেয়েকে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সকল আলামত উদ্ধার করতে পুলিশের প্রায় ১০ দিন সময় লেগেছে। হত্যাকাণ্ডের জট খুলে আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
এফএস
Sunday 2 November 2025
⁞
