রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে প্রাণ হারানো শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ ও বর্তমান শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ।বুধবার বিকেলে (২৯ অক্টোবর) নিহত আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন বিএনপি নেতা কিরণ। এ সময় তিনি আবুল কালাম আজাদের দুই শিশুসন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণা দেন।
শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, আমি যেহেতু এই নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থী, তাই আবুল কালাম আজাদের দুই শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও লালন-পালনের দায়িত্ব আমি নিজে নেব। পাশাপাশি তার স্ত্রীকে একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমি এই পরিবারের পাশে থাকতে চাই।
দুর্ঘটনার জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, সরকার যেই সিদ্ধান্তই নিক না কেন, কালাম আমার এলাকার সন্তান। তার মৃত্যুতে কষ্ট আমাদের, সরকারের নয়। এই দুর্ঘটনার পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি মনে করেন, সরকার যদি ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরিবার আইনগতভাবে ন্যায়বিচার আদায়ের পথ বেছে নিতে পারে। তার ভাষায়, এই মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা হওয়া উচিত। পরিবার একজন কর্মক্ষম সদস্য হারিয়েছে—এর আর্থিক মূল্য কোনোভাবেই পরিমাপযোগ্য নয়।
কিরণ আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই দুর্ঘটনা ঘটে, কিন্তু একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এমন ভয়াবহ ঘটনা আগে কখনো শুনিনি। মেট্রোরেলের মতো বড় একটি প্রকল্পে কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে—এতে প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক ও ঠিকাদারদের অবহেলা স্পষ্ট। আমি মনে করি, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করাই এই মর্মান্তিক ঘটনার মূল কারণ।
স্থানীয়রা জানান, শফিকুর রহমান কিরণের এ ঘোষণায় শোকাহত আজাদের পরিবার কিছুটা সান্ত্বনা পেয়েছে। তারা আশা করছেন, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়েও মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এনআই
Saturday 1 November 2025
somoyerkonthosor - 3 days ago
