ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশ সংলগ্ন রাজ্য আসামে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার বুধবারের (২৯ অক্টোবর) প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার শ্রীভূমি জেলায় কংগ্রেস সেবা দলের সভায় কংগ্রেসের কর্মী বিধু ভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়েছেন। বিজেপি সদস্যরা এ ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
কংগ্রেস এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলটি জোর দিয়ে বলেছে, দাস কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেছেন।
সেবাদলের শ্রীভূমি জেলা শাখার সাবেক সভাপতি দাস সোমবারের সভায় তার বক্তৃতা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা ‘আমার সোনার বাংলা’ দিয়ে। যা ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে প্রথম বঙ্গভঙ্গের সময় লেখা হয়েছিল।
কংগ্রেস সদস্যরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে ‘একটি সাংস্কৃতিক অঙ্গভঙ্গিকে চাঞ্চল্যকর করে তোলার’ অভিযোগ করেন। অন্যদিকে বিজেপির নেতারা এটিকে ‘রাজনৈতিক নৈতিকতার গুরুতর ত্রুটি’ বলে বর্ণনা করছেন।
বিজেপির আসাম মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেছেন, ওই দলের সবকিছুই অদ্ভুত। তারা জানে না কখন বা কী গাইবে। আমি ভিডিওটি দেখব এবং পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।
কংগ্রেসের নেতারা সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দাসের গানকে বিকৃত করা হচ্ছে। দলের জেলা কমিটির মিডিয়া সেলের প্রধান শাহাদাত আহমেদ চৌধুরী বলেন, দাস শুরুতেই ঘোষণা করেন যে তিনি একটি রবীন্দ্রসংগীত গাইবেন। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি মূলত রবীন্দ্রসংগীত হিসেবে পরিচিত। দাস প্রতি স্বাধীনতা দিবসে ইন্দিরা ভবনে ভারতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এটিকে বাংলাদেশের সংগীত হিসেবে বিবেচনা করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এটি কেবল তার মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ছিল।এসকে/আরআই
Saturday 1 November 2025
somoyerkonthosor - 3 days ago
