ইসরাইলের হামলায় গাজার আকাশে বাতাসে এখনো মিশে আছে বারুদের ধোঁয়া আর ক্ষুধার্ত নিঃশ্বাস। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এক দম্পতি হামেদ ও রিদা আলিওয়া। পুরো এক প্রজন্মকে হারিয়েও যেন খুঁজে নিয়েছেন আশার আলো।
দুই বছরের দীর্ঘ যুদ্ধে তাদের ৫ ছেলের সবাই নিহত হয়েছেন। এখন ৬৩ বছরের হামেদ ও ৬০ বছরের রিদা নিজেদের সন্তান হারিয়ে এই ৩৬ জন এতিম নাতি-নাতনিকে লালনপালন করার গুরুদায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন নিজেদের কাঁধে। কিন্তু অনাথ এই ৩৬ জন নাতি-নাতনিকে লালনপালন করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
রিদা আল জাজিরাকে বলেছেন, এই শিশুদের যত্ন প্রয়োজন। তাদের খাবার, পানি এবং বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। এটা বিশাল এক দায়িত্ব যা তাকে প্রচণ্ড চাপ দেয়। তিনি তার ছেলেদের হারানোর বেদনা লুকোতে পারেন না। ছেলেরাই ছিল তার সবকিছু। আর এখন, ব্যথিত মন নিয়ে তিনি তাদের আহত সন্তানদের দেখাশোনা করছেন। প্রতিদিন সকালে হামেদ ও রিদা ঘুম থেকে ওঠেন, নিজেদের জন্য নয়, বরং এই ছোট বাচ্চাদের জন্য। যারা এখন তাদেরকেই মা বাবা হিসেবে চেনে।
ক্লান্ত কণ্ঠে হামিদ জানান, রাতে ড্রোনের শব্দে ঘুম আসে না তাদের। তারা ভয়ে থাকেন। আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী এ পরিবারটি গাজার সামগ্রিক মানবিক বিপর্যয়ের এক প্রতিচ্ছবি।
প্যালেস্টাইনি সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস জানান, অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় ৩৯,০০০-র বেশি শিশু হারিয়েছে তাদের বাবা-মা কে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার শিশু হারিয়েছে মা-বাবা উভয়কেই।
এমআর-২
Saturday 1 November 2025
somoyerkonthosor - 3 days ago
